মহেশখালীতে নিলামের নামে গাছ লুটপাট, প্রতিবেদনের পর তদন্তে বনবিভাগ।
ফারুক আজম: মহেশখালী
"মহেশখালীতে নিলামের আড়ালে গাছ লুটপাট! নিশ্চুপ বনবিভাগ" এই শিরোনামে দৈনিক কক্সবাজার প্রতিদিন এ প্রতিবেদনার পর পরেই আজ সরজমিনের তদন্তে আসেন সহকারী বন সংরক্ষণ (এসিএফ) ও মহেশখালী রেঞ্জ সহ একদল প্রতিনিধি টিম।
এদিকে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনাজপুর এলাকায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় নিলামের নামে দীর্ঘ দিনধরে নির্বিচারে প্রাকৃতিক বনের গাছ কেটে পাচার ও গাছ পরিবহনের সুবিধার্থে পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৩ কিলোমিটারের রাস্তা। এই নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের হলে,টনক নড়ে বন বিভাগের।
সহকারী বন সংরক্ষণ (এসিএফ) কর্মকর্তা সাজমিনুল ইসলাম নোমান বলেন- নিলামের চেয়ে অতিরিক্ত গাছ কাটা ও পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির অভিযোগের ভিত্তিতে আমিও মহেশখালী রেঞ্জা কমকর্তা এনামুল হক সরজমিনে আসলাম। এসে তা সত্যতা পেয়েছি। এখানে শুধু টিকাদান নই আমার বন বিভাগের লোকজনের জড়িত বলে ধারা হচ্ছে। তাদের যোগসাজশে ঠিকাদার এমন কাজ করার সাহস পেয়েছে। এই বিষয়ে প্রথমে আমার গাফিলতির স্বীকার করছি। এই সবে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্ত নিবো। এই সময় তিনি আরও বলেন- যতদিন পযন্ত অফিসিয়ালি ভাবে সিদ্ধান্ত না আসবে ততদিন পযন্ত গাছ কাটা বা৷ দেওয়া বন্ধ থাকবে।
স্থানীয়রা বলছেন–মহেশখালীতে ইতিপূর্বে এই রকম নাটকীয় তদন্ত অনেকবার হয়েছিল।বন বিভাগের কমকর্তা অবৈধ গাছ বোঝাই গাড়ি জন্ধ করে কিন্তু কালো টাকার বিনিময়ে তা দেখে দে। ঠিক তেমনে এইটাই বনবিভাগের নতুন এক কৌশল। তাদের যোগসাজশে বনবিভাগে হরিরলুট চলছে।
স্হানীয় পরিবেশ কর্মী রাকিব হাসান বলেন-বন বিভাগে অসাধু কমকর্তা, যারা কেলংকার এর সাথে জড়িত দিনাজপুর বিট ও মহেশখালী রেঞ্জ কে এর দায়ি নিতে হবে। দ্রুত বিভাগীয় তদন্তের মুখে তাদের হবে এবং মহেশখালী থেকে অপসারণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন যে টিকাদারী প্রতিষ্টান পাহাড় কাটাও গাছ পাচারের সাথে জড়িতে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্ত ও লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। অন্যতাই মহেশখালীর ছাত্র সমাজ ও পরিবেশ কর্মীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
উল্লেখ - প্রাকৃতিক দুর্যোগ হামুনের আঘাতে উপড়েপড়া ৯০০ টি আকাশ মনি গাছ নিলামে বিক্রি করেছে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ। কিন্তু ঠিকাদার শর্ত ভঙ্গ করে সংশ্লিষ্ট বনকর্মীর যোগসাজশে নিলামের দ্বিগুণ গাছ কেটে নিচ্ছে এবং পাহাড় কেটে বানানো হচ্ছে রাস্তা। প্রশাসনের চোখের সামনেই গাড়িতে করে পাচার করছে হাজারো গাছ।
Post a Comment