জোয়ারের পানিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেলে কোটি টাকা ব্যয়ে বালির বাঁধ
জোয়ারের পানিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেলে কোটি টাকা ব্যয়ে বালির বাঁধ
আব্দুর রহমান রিটন,মহেশখালী।
প্রতিনিয়ত সমুদ্রের সাথে যুদ্ধ করে জীবন অতিবাহিত করতেছে মহেশখালী উপজেলার সাইরারডেইল এলাকার প্রায় ৩শ পরিবার।গত বৃহস্পতিবার জোয়ারের পানি পূর্ণিমার কারণে বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ি পশ্চিমের একমাত্র বেড়িবাঁধ।মাতারবাড়ি প্রায় ৮ কি.মি. বেড়িবাঁধের মধ্যে পশ্চিম দিকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় প্রায় ১ কি.মি. বেড়িবাঁধ অরক্ষিত।এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে ৮৭০ মি বেড়িবাঁধ বালি দিয়ে অস্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।এর মধ্যে প্রায় ৪০০ মিটার বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানিতে জিও ব্যাগ তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত পানি ডুকছে জালিয়াপাড়া, বাহিরপাড়ার প্রায় তিনশতাধিক পরিবারে।নানা দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করতেছে এসব এলাকার মানুষ।
গত এপ্রিল মাসে বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করলেও জুলাই মাসে পানির নিচে বেড়িবাঁধ তলিয়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় মানুষ।স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বেড়িবাঁধ নির্মাণের সময় নানা অযুহাত দিয়ে বেড়িবাঁধের পাশের এলাকা থেকে বালি তুলে জিও ব্যাগ ভর্তি করত।এছাড়া বালির পরিমাণ বেশি হওয়ার ফলে সহজে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় বালিরবাঁধ।মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড়ের সদস্য সারওয়ার কামাল বলেন, তিন মাসের মাথায় এই বেড়িবাঁধটি তলিয়ে যাওয়ার কারণ হল, বেড়িবাঁধের নিচ থেকে বালি তুলে জিও ব্যাগ ভর্তি করেছিলি ঠিকাদারগুলো।বালির আধিক্য বেশি হওয়ায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় বেড়িবাঁধ।সমুদ্রের বালি সমুদ্রের চলে গেছে।
মাতারবাড়ির জেলেপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ আমান উল্লাহ বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় আমাদের একমাত্র আবাসস্থল হারানোর পথে।ইতোমধ্যে রান্নাঘর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।আমরা টেকসই বেড়িবাঁধ চাই,তা না হলে আমাদের ঘরবাড়ি রক্ষ করা কঠিন হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড.তানজির সাইফ আহমদ বলেন, মাতারবাড়ির জেলেপাড়া আর জোয়ারের পানিতে বিধ্বস্ত হওয়া অংশ দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এছাড়া এসব অঞ্চলে সুপারডাইক দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মান করার জন্যে প্রাক্কালিক আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Post a Comment