চোরাই বিদ্যুৎ বাণিজ্য ফাঁস, হাতেনাতে ধরা
নিউজ ডেক্স:
চুরি করে ব্যবসা, মোশাররফের বিদ্যুৎ কারসাজি ফাঁস
চালাকি করে বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন মোশাররফ হোসাইন নামের এক ব্যক্তি। নিজের নামে নিবন্ধিত একটি আবাসিক মিটারের আড়ালে গড়ে তোলেন অবৈধ বিদ্যুৎ বাণিজ্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না-অবশেষে হাতেনাতে ধরা পড়লেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হাতে।
৬ এপ্রিল (রবিবার) বিকেলে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের জে.এম.ঘাট বাজার এলাকায় মোশাররফের বাড়িতে অভিযান চালায় মহেশখালী বিদ্যুৎ অফিসের একটি টিম। সেখান থেকে তার চোরাই সংযোগের প্রমাণ পাওয়ার পরপরই অবৈধ মিটার খুলে নিয়ে যায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানায়, মোশাররফ তার বাড়ির একটি মিটারের দেখিয়ে পাশের একাধিক দোকান ও গাড়িতে চোরাইভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আসছিলেন। দোকানদার ও গাড়ি মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত বিল নিলেও বিদ্যুৎ অফিসে কোনো টাকা জমা দিতেন না। কারণ, লাইনটি ছিল পুরোপুরি অবৈধ।
স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর বয়সী মোশাররফ ছিলেন এলাকার এক ধরনের ‘অঘোষিত কর্তৃত্ববাদী’। মৃত আকবর আহমদের ছেলে এই যুবক দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাব খাটিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। তবে এবার আইনের হাত এড়িয়ে যেতে পারলেন না।
চেষ্টার পরও মোশাররফ হোসাইনের মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম বলেন, মোশাররফ হোসাইন নামের এক ব্যক্তির মিটার জব্দ করা হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় চোরাই বিদ্যুৎ এর লাইন ব্যবহার করতেন সেই গুলো কেটে দিয়ে মিটার টি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে পরবর্তীতে আইন অনুসারে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ চুরির দায়ে অনধিক ৩ বছর কারাদণ্ড, বা চুরিকৃত বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ, বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
Post a Comment