শিক্ষিকা শাকিলার মৃত্যু নিয়ে ছোট বোন তানজিনা মনসুর মিলকির অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষিকার দিকে

শিক্ষিকা শাকিলার মৃত্যু নিয়ে ছোট বোন তানজিনা মনসুর মিলকির অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষিকার দিকে। বোনের মৃত্যুর পর নিজ ফেসবুক টাইমলাইনে যা
লিখেছেন; তা হুবহু তুলে ধরা হলো। আমার বোনের শাকিলা মনছুরের মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। শাকিলার মৃত্যু কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আমার বোন মানসিক টর্চারের শিকার। আমার বোনের উপর অনৈতিক ও অমানবিক আচরন করা হয়েছে। যার ফলে সে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। কক্সবাজার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সরকারিভাবে নিযুক্ত ছিলেন আমার বোন শাকিলা। গেলো প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে পৌরসভার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও ভোটার ফরম যাচাই-বাছাই-এ ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তিনি। এবং সাথে ক্লাসও চালিয়ে নিয়ে গেছেন। এই কাজে নিযুক্ত হওয়ার পরেও তাঁর স্কুল 'সাহিত্যিকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের' প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আকতার আমার বোনকে বিভিন্ন সময় মানসিকভাবে হয়রানি করে আসছে স্কুলে পূর্ণ ক্লাস করাতে পারছে না বলে। ভোটার হালনাগাদ কাজে ব্যস্ত থাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা আমার বোন শাকিলাকে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করতো। নানান কটুকথা বলতো শাকিলাকে। যেটি আজকেও করেছে, যার প্রমাণ ও সাক্ষ্য দিয়েছেন অত্র স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও। ভোটার আবেদন ফরম জমা নেয়ার শেষ তারিখ ছিলো আজ ২২ আগস্ট ২০২২ ইংরেজি। এদিকে ভোটার প্রার্থীদের নানান প্রেশার, আবেদন ফরম যাচাই-বাছাই, এবং জমা নেওয়ায় ব্যস্ততা থাকায় স্কুলে ক্লাস নিতে পারছিলো না আমার বোন শাকিলা। এই জন্য আজকেও প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা আকতার সহকারী শিক্ষিকা শাকিলাকে ডেকে সবার সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, হীনমন্য আচরণ, মানহানিকর কথাবার্তা ও রিতিমত মানসিক নিপীড়ন চালাচ্ছিলেন। এমত অবস্থায় উক্ত বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরীর কাছে নালিশ করতে যান এবং সেই সময়ে সভাপতির বাড়িতেই তিনি স্ট্রোক করেন। এর আগে আপু তার স্বামীকে ফোন করে জানান আমার যদি কিছু হয় প্রধান শিক্ষককে ছেড়ে দিবেননা।

0/একটি মন্তব্য / মন্তব্য পোস্ট করুন