মহেশখালীর দ্বীপটি অচিরেই ধ্বংসের পথে

মহেশখালীর দ্বীপটি অচিরেই ধ্বংসের পথে মিজানুর রহমান: মহেশখালী দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ, মহেশখালীতে প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটা হচ্ছে, দ্বীপে অপরূপ সৌন্দর্য্য হারিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যেরে ঘেরা পাহাড়ী এলাকাসমূহ। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের অন্যতম কারণ হচ্ছে নির্বিচারে পাহাড় কাটা। এভাবে পাহাড় কাটা অব্যহত থাকায় এ দ্বীপটি অচিরেই ধ্বংসের পথে। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের উত্তর ষাটমারা পাহাড়ি এলাকায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী আব্দুল কাদের এর স্ত্রী শাহানা বেগম পাহাড় থেকে মাটি বিলীন করে আসছে। তাছাড়া বন্যপ্রাণী বেঁধে রেখেছে বাড়ির আঙ্গিনায়। বনবিভাগ রয়েছে নিরব ভূমিকায়। ধ্বংস হচ্ছে মহেশখালীর পাহাড়! একই ভাবে ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে পরিবেশের ভাসসাম্য। এতে জনমনে সমালোচনার ঝর উঠেছে। পাহাড় কাটার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে শাহানা বেগম বলেন, আমি বাড়ি রক্ষার্থে পাহাড়ের উঁচু স্থানটি কেটে নিয়েছি। যাতে পাহাড় বাড়ির উপর ধসে না পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে মাটি বিলীনের বিষয়টি তিনি অশিক্ষার করেন। বন্যপ্রাণী ধরে বেঁধে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঠিক মতো খাবার দিচ্ছি, বাঁধা থেকে ছেড়ে দিলে গাছের ফল নষ্ট করে ফেলবে। এ বিষয়ে শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা রাজীব ইব্রাহীম বলেন , পাহাড় কাটা এবং বসতঘরে বন্যপ্রাণী বেঁধে রাখার বিষয়টি আমি জানিনা এখন শুনলাম মাত্র । উত্তর ষাইটমারা আমাদের আরেকটা বিট অফিস রয়েছে ঐ অফিসে থাকা বিট কর্মকর্তা জীবন চাকমা অত্র এলাকা গুলো দেখা শুনা করেন । তবে বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখব , সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি ।