কালীগঞ্জ মোজার মালিকগণ বৈষম্য শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেন

— মিজানুর রহমান

মহেশখালী কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সুমিতোম কর্পোরেশন জাপান এর উদ্যোগে ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক‍্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল‍্যান্ট নির্মাণ প্রকল্পের জন‍্য মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ঝাপুয়া, কালারমারছড়া, ইউনুছখালী এবং কালিগঞ্জ মৌজার ভূমি অধিগ্রহণ মামলা - ০৩/২০১৮ -১৯ এর অধিগ্রহণকৃত জমির উপর ৮ ধারা নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। 

তন্মধ্যে গুরুতর দুটি অভিযোগ তুলেন জমির মালিকগণ অধিগ্রহণকৃত ১৪০০ একর জমিসমূহের উপর ০৪ ধারা এবং ০৭ ধারা নোটিশ জারি করলেও, ০৮ ধারা নোটিশের মধ্যে ১৪০০ একর হতে নাটকীয়ভাবে খাল শ্রেণি নামে ৫০ একর জমি বাদ দিয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে ১৩৫০ একরের। অথচ বাদ পড়া ৫০ একর জমি বাকি ১৩৫০ একরের মতোই খতিয়ান ভুক্ত এবং সমমানের জমি। কোনো যৌক্তিকতা কিংবা জমি সমূহের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ব‍্যবস্থা গ্রহণ ব‍্যাতীত নামে মাত্রই খাল শ্রেণি উল্লেখ করে উক্ত ৫০ একর জমি বাদ দিয়ে ০৮ ধারা নোটিশ জারি করায় অসহায় হয়ে পড়েছে সেই ৫০ একরের জমির মালিকেরা। তারা দাবী তুলেছে - যদি উক্ত ৫০ একর জমি আসলেই অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত করা না হয়, তাহলে জমিগুলো কাগজে কলমে চিহ্নিত পূর্বক আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হোক। এবং সেসব জমিতে যাতায়াতের জন‍্য রাস্তাও রাখতে হবে। কেননা জমিগুলো --অধিগ্রহণের জন‍্য জারিকৃত ০৮ ধারা নোটিশের আওতাভুক্ত ১৩৫০ একরের মধ‍্যখানে কয়েক একর করে করে অনেক ভাগে বিভক্ত। আর যদি সেভাবে জমিগুলো বুঝিয়ে দেয়া না হয়। তাহলে ১৩৫০ একরের ন‍্যায় উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান পূর্বক অধিগ্রহণের আওতায় নেয়া হোক। 

এছাড়াও জমির মালিকেরা ক্ষতিপূরণ উত্তোলনে এলও অফিস ও দালালদের হয়রানি বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ সহ বেশ কিছু দাবী দাওয়া এবং সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এদিকে ইউনুসখালী মৌজা, ঝাপুয়া মৌজা ও কালারমার ছড়া মৌজার এক দাম এবং কালীগঞ্জ মৌজা দাম বিন্ন হওয়াই চরম বৈষম্য করা হয়েছে বলে দাবী করেন, কালীগঞ্জ মোজার মালিকগণ। তারা প্রত্যাক ও পরোক্ষভাবে জনপ্রতিনিধিদের দায় করেন। এটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা - সমালোচনার ঝর উঠাতে।

0/একটি মন্তব্য / মন্তব্য পোস্ট করুন