মহেশখালী কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র আরাফাতের জানাযা সম্পন্ন।





আমিনুল হক, মহেশখালী -

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা এলাকায় গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে মৃত্যু বরণকারী মহেশখালী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র মোঃ আরাফাত উদ্দিনের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। 

গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজের পর বড় মহেশখালী নতুন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলমগীর মুহাম্মদ মাহাফুজ উল্লাহ ফরিদ, আরাফাতের চাচা কাছিম সহ আরও কয়েকজন। বক্তারা আরাফাতের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান। 

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শা আ ম এনায়েত উল্লাহ বাবুল, মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব সাজেদুল করিম, কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল, মহেশখালী কলেজের শিক্ষক-ছাত্র ও কর্মচারীবৃন্দ। এসময় পাশে ছিলেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী সহ পুলিশের একাধিক টিম। 

উল্লেখ্য যে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে বড় মহেশখালী জাগিরাঘোনাস্থ আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের পাশে মধুয়ার ডেইল এলাকার মৃত শহর মুল্লুকের ছেলে ছালাম মিয়ার কয়েকটি গরু আরাফাতের চাচা মোঃ কাছিমের চাষ করা ধান ক্ষেত খায়। দুপুরে পূণরায় কয়েকটি গরু উক্ত ধান ক্ষেত খেতে দেখলে মোঃ কাছিমের সন্তানেরা গরু গুলো তাড়িয়ে দেয়। একটি গরু বেঁধে রাখলে এসময় ছালাম মিয়ার স্ত্রী রহিমা এসে মোঃ কাছিমের দুই শিশু সন্তানকে জুতা পেটা করে। ঐ দিন রাত ৯ টায় ছালাম মিয়া মোঃ কাছিমকে পথিমধ্যে পেয়ে তাকে মারধর করলে এসময় তাকে রক্ষা করতে আসেন তার ভাতিজা মহেশখালী কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ আরাফাত উদ্দিন। আরাফাতকেও তারা প্রচন্ড রকম মারধর করে। আরাফাত মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এসময় স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আরাফাতকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তার অবস্থা সংকটাপন্ন দেখলে তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। ওখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকও তাকে চট্টগ্রামে রেফার করলে চট্টগ্রামের ট্রিটমেন হাসপাতালের আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ২ টা ৪০ মিনিটে সে মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ছালাম মিয়াকে প্রধান আসামী করে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আরাফাতের মা কহিনুর আক্তার। 

আরাফাত বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা এলাকার মোঃ জালালের পুত্র এবং বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে। সে অত্যন্ত মেধাবী, শান্তশিষ্ট, ভদ্র ও নম্র স্বভাবের ছিল। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী বলেন, আরাফাতের উপর হামলাকারী দোষী ব্যক্তিদের কোন ভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0/একটি মন্তব্য / মন্তব্য পোস্ট করুন