মহেশখালীতে গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে আহত কলেজ ছাত্রের মৃত্যু।




আবুল বশর পারভেজ:-

ককসবাজারের মহেশখালী উপজেলার জাগিরাঘোনায় গ্রামে গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারাত্বকভাবে হামলার শিকার মহেশখালী কলেজ আরফাত অবশেষে মারা গেছে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর বড় মহেশখালী জাগিরাঘোনাস্থ খালেদা জিয়া সড়কস্থ আলমগীর ফরিদ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ মাঠের পাশে ধানের ক্ষেতে মধুযার ডেইল গ্রামের মৃত শহর মল্লুকের পুত্র সালাম মিয়া ড্রাইভারের কয়েকটি গরু আবুল কাছিম এর চাষ করা ধান ক্ষেত খায়। ২৫ তারিখ দুপুরে পূনরায় কয়েকটি গরু ধান খাওয়া দেখে গরুগুলি তাড়িয়ে দেয়। একটি গরু গাছে বেধে রাখলে গরুর মালিক ছালাম এর স্ত্রী রহিমা ধানের মালিক কাছিমের ২শিশু পুত্র কে জুতা পিঠা করে।

এঘটনায় ২পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হলে স্থানীয় লোকজন তাদের কে মিমাংশা করার আশ্বাস দেয়।

আশ্বাসের বিশ্বাস ভঙ্গ করে সালাম রাত অনুমান ৯টায় পথে কাছিম কে একটি দোকানের সামনে গতিরোধ করে মারধর করে।

পিতা ও চাচা কে মারধরে চিৎসকার শুনে আরাফাত ও সোহেল কাছিম কে উদ্ধারের জন্য পড়ার টেবিল থেকে উঠে দ্রুত এগিয়ে আসার পথিমধ্যে ছালাম, রহিমা,আবু বক্কর,মোঃ শাহা আলম,ছৈয়দ মিয়া,নাছির মিয়া,তৌহিদ,

আমিনুল হক,আশেক উল্লাহ,সরওয়ার,মোমেনা সহ ১৫/২০জনের একটি সংঘব্ধ দল আরাফাত ও সোহেলকে ঘিরে পেলে।

উপর্যুপরী হাতুড়ি ও চুরি,রট ওলাঠি দিয়ে আরাফাতকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক জখম করে।

আহতদের দ্রুত মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্বর জখমের কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। পরবর্তীতে আরাফাতকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। চট্টগ্রাম শহরের ট্রিটমেন হাসপাতালে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ২টায় ৪০ মিনিটে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে।

নিহত আরাফাত বাংলা়দেশ ছাত্রলীগ বড় মহেশখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ০৭ নং ওয়ার্ড় ছাত্রলীগের সভাপতি। মহেশখালী ডিগ্রি কলেজের একাউন্টিং অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র।

আরাফাত ২ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড়।

গতকাল রাতে সালাম মিয়াকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা রুজু করে নিহত আরাফাতের মা কহিনুর আকতার।

মৃত্যর সংবাদ প্রচার হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

মহেশখালী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে।


আগামীকাল জাগিরাঘোনায় জানাযার নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

0/একটি মন্তব্য / মন্তব্য পোস্ট করুন