সারাদেশের মতো মহেশখালী উপজেলায় ৩য় দিনের মতো মঙ্গলবারও কর্মবিরতি পালন করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু কর্মবিরতি পালন করছেন মহেশখালীতে কর্মরত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ।
জানা গেছে, ২০১২ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন কার্যকর হলেও এখনো জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি এখনো অনুমোদন হয়নি। দুটি পদের আপগ্রেডেশন পড়ে রয়েছে মন্ত্রণালয়ে। ফলে জেলা ও উপজেলার ডিআরআরও-পিআইওরা পাচ্ছেন না সামাজিক মর্যাদা ও কাঙ্খিত আর্থিক সুবিধা। ফলে বিষয়টির সুরাহার জন্য ডিআরআরও-পিআইও এবং কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: রাশেদুল ইসলাম জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন কার্যকর না হলেও জনবল কাঠানো ও নিয়োগবিধি অনুমোদন হয়নি। এতে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মর্যাদা ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার মতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিটি ন্যায্য। তাই অবিলম্বে দাবিগুলো মেনে নেয়ার অনুরোধ করেন।
মহেশখালী উপজেলায় কর্মবিরতি পালন করছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়বন কর্মর্কতা মোঃ রাশেদুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী জামাল হোসেন, অফিস সহকারী আব্দুল করিম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম, ঝুলন দাশ প্রমুখ।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দেশের যেকোন দুর্যোগে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা ত্রাণ বিতরণে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু এ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজও অবহেলিত ও বঞ্চিত। তিনি জনবল কাঠানো ও নিয়োগবিধি অনুমোদনসহ দাবি মেনে নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
Post a Comment