মহেশখালীতে শেখ রাসেল শিশুপার্ক রক্ষায় ইউএনও বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

মহেশখালীতে শেখ রাসেল শিশুপার্ক রক্ষায় ইউএনও বরাবর স্মারক লিপি প্রদান সুব্রত আপন
মহেশখালীতে সুশীল সমাজের মাধ্যমে শেখ রাসেল শিশুপার্ক রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাসের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আনম হাসানের নেতৃত্বে ২২/০৮/২০২২ইং তারিখ দুপুর ১.০০ ঘটিকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোহাম্মদ ইয়াছিন এর কাছে স্মারক লিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন মনির বিন সোলতান,রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি এনামুল হক, কবি ও সাংবাদিক সুব্রত আপন, সাংবাদিক একে রিফাত। দীর্ঘদিন যাবৎ মহেশখালীতে শিশু কিশোরদের আনন্দ বিনোদনের জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান, পার্ক ছিলোনা ৷ শিশু কিশোরদের শারিরিক ও মানসিক বিকাশে এবং আনন্দ বিনোদন প্রেমী মানুষের কথা চিন্তা করে, উপজেলা প্রশাসন মহেশখালী ভূমি দস্যুদের কবল থেকে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে শেখ রাসেল শিশুপার্ক প্রতিষ্ঠা করেন ৷ গত ২০২১ সালের ২১ জুলাই মাননীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন মহেশখালী শিশুপার্কটি উদ্বোধন করে ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ৷ কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় যে, পার্কটি উদ্বোধনের ১বছর না পেরুতেই দুর্বৃত্তদের লুলুপ দৃষ্টি পড়েছে পার্কটির দিকে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বের ন্যায় সরকারি খাস জমিটি দখলে নিতে নানান কৌশলে শিশুদের খেলনার বিভিন্ন রাইড রাতের আঁধারে গায়েব করে ফেলেছে ৷ তারা পেশী শক্তির প্রভাব কাটিয়ে বখাটেদের কে লেলিয়ে দিয়ে ভ্রমন পিপাসুরা যাতে পার্ক বিমুখ হয়, সে লক্ষ্যে দর্শনার্থীদের হেনস্তা করে। পার্কটির বেহাল দশা এবং বিভিন্ন রাইড গায়েব করার খবর লোকমুখে শুনে স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পূর্ব থেকে লেলিয়ে দেওয়া কিছু বখাটে এবং পার্কের টোল আদায়ে নিয়োজিত লোকজন সংবাদ কর্মীদের হেনস্থা এবং মারতে উদ্যত হয় ৷ সংবাদকর্মীরা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে নিরাপদ স্থানে সরে আসে ৷ যা ইতোমধ্যে স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকা সহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদে উঠে আসে ৷ তারপরেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরেও কোন ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেননি ৷ সাধারণ দর্শনার্থীরা পার্ক ভ্রমণে যেতে নিরাপত্তাহীনতার আশংকা প্রকাশ করেন ৷ অচিরেই রাইড সমূহ উদ্ধার পূর্বক প্রতিস্থাপন করা না হলে পূর্বেকার মত ভূমি দস্যুদের দখলে চলে যাওয়ার আশংকা বিদ্যমান ৷ স্মারক লিপি প্রদানকালে উপজেলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ ইয়াসিন জানান, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা আমাকে অবহিত করেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। অচিরেই বখাটে ও দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং শেখ রাসেল শিশুপার্কটি উদ্ধার পূর্বক চুরি যাওয়া রাইড উদ্ধার পূর্বক পুনঃস্থাপন করা হবে।

0/একটি মন্তব্য / মন্তব্য পোস্ট করুন